Thursday, March 17, 2016

ব্লগিং এর জন্য ইংরেজী জানা কতটা জরুরী

আমাদের মাতৃভাষা যদি বাংলা হয়ে থাকে তবে বিশ্বের মাতৃভাষা হল ইংরেজী। আজকের বিশ্বে ইংরেজী না জানা মানে হল আপনি আধুনিক দুনিয়ার সব কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। সে যাই হোক, আমার আজকের লেখাটার উদ্দেশ্য ইংরেজি ভাষাটাকে মহান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা নয়। বরং – ইংরেজী জানাটা একজন ব্লগারের জন্য কতটা জরুরী সে সম্পর্কে ধারনা দেয়া।
learn-english
english blog
learn-english
যারা এখানে ওয়েব স্কুলে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন বা দেবেন- আমি ধরে নিচ্ছি তাদের বেশিরভাগই এসেছেন নিজের প্রোফেশনাল ডেভেলপমেন্ট করতে। আর একথা অনস্বীকার্য যে ইংরেজী না জানলে যে কোন প্রফেশনে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। আবার সেটা যদি হয়ে থাকে অনলাইন বেইসড কোন প্রফেশন যেমনঃ- ব্লগিং, ফ্রী-ল্যান্সিং বা ওয়েব ডিজাইন তবে তো কোন কথাই নেই। অনলাইনের ৯৯ ভাগ কাজ এখনও ইংরেজীতেই হয়ে থাকে।

ব্লগিং এবং ইংরেজী

আপনি যখন ব্লগিং করবেন তখন কিন্তু শুধু বাংঙ্গালীদের জন্য করছেন না। করছেন সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য। কাজেই তাদের চেনা ভাষাতেই আপনাকে ব্লগিং করতে হবে। আপনার লেখা পড়ে যেন তারা মনে করে আপনি আনাড়ি নন- যে বিষয়ে আপনি লিখছেন সে বিষয়ে আপনার যথেষ্ঠ দক্ষতা আছে। শুধুমাত্র তখনি আপনি ব্লগিং এ সফলতা পাবেন।
একটা ছোট্ট প্রশ্নের জবাব দিয়ে নিই এখানে। আমি কেন বাংলায় লিখছি এখন?
– কারন আমার এই লেখাটা শুধুমাত্র বাঙ্গালীদের জন্য তাই। আপনি যদি একটি বাংলা ব্লগ চালাতে চান তবে তার ভাষাটা বাংলা হলে চমৎকার হয়। এই ব্যপারটিকে আমরা লোকালাইজেশন বলে থাকি। আপনি চাইলে বাংলাদেশীদের জন্য ইংরেজিতেও ব্লগিং করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে অনেক বাঙ্গালীই হয়ত আপনার লেখাগুলো পড়ে কিছু বুঝবে না। কারন আমরা এখনও ইংরেজী ভাষাতে খুবই দুর্বল।
ছোট্ট একটা উদাহরন দেয়া যাক- আপনি ভেবে বের করুন তো বাংলাদেশে কোন ভাষার পত্রিকা বেশি চলে?
এরপর আসা যাক এডভারটাইজমেন্টের কথায়- অনেক এডভারটাইজার কোম্পানির শর্ত থাকে যে আপনার ব্লগের বা সাইটের মুল ভাষা ইংরেজী হতে হবে। কাজেই তারা non-English  সাইটগুলোতে তাদের বিজ্ঞাপন দেবেনা। আর আপনি বঞ্ছিত হবেন রেভেনিউ থেকে।
আর্নিং এর কথা চিন্তা করছেন ব্লগিং থেকে? ইংরেজি ব্লগ না হলে তা অনেকাংশেই বিফলে যাবে। আর যারা এফেলিয়েট মার্কেটিং করবেন বলে মনস্থির করছেন তাদের জন্য ইংরেজি জানাটা বাধ্যতামুলক। ওটা বাদে আপনার পক্ষে আর্ন করাটা মোটামুটি অসম্ভব।
ফ্রী-ল্যান্সারদের জন্য নতুন করে কিছু বলার নেই- আমরা সবাই জানি যে বাইরের ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র সহজ ভাষা হলো ইংরেজী।
কাজেই সকল আগ্রহী ব্লগার এবং নতুনদেরকে বলছি যারাই এই ব্লগিং কে নিজেদের পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী তারা আগে নিজের ইংরেজীটাকে পাকাপোক্ত করুন।

কিভাবে শিখবেন?

ওয়েব স্কুলের মূল লক্ষ্যটাই হল আগ্রহীদেরকে সাহায্য করা। অবশ্যই আমাদের সব কিছু ফ্রীতে নয়। কারন আমরা জানি-  সস্তার তিন অবস্থা :) :( :p ।
তবে এটুকু আপনাদের কে বলতে পারি কিভাবে আপনি ইংরেজীতে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। অনলাইনে প্রচুর সাইট আছে যারা আপনার ইংরেজি চর্চাতে সাহায্য করতে পারে। এরকমই একটি সাইট হলো- http://www.learnenglish-online.com/ । আপনি চাইলে গুগল থেকে আর বেশ-কিছু সাইট খুজে নিতে পারেন।
আমরা কাউকে বলছি না যে আপনাকে সাইফুরস এ ভর্তি হতে হবে ইংরেজী শেখার জন্য। ব্লগিং এর ইংরেজী শেখার জন্য আপনার ক্লাস ১০ এর ইংরেজী জানলেই চলবে। আর তার সাথে থাকতে হবে প্রচুর ইংরেজী মুভি, নিউজ, গল্প, ব্লগ ইত্যাদি পড়ার এবং দেখার ধৈর্য। আপনি যত বেশি লেখার এবং পড়ার চর্চা করবেন তত দক্ষ হবেন ইংরেজীতে।
আমরা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে ওয়েব স্কুলে আপাতত ইংরেজী শেখার কোন ব্যবস্থা থাকবে না।
লেখাটা আর বড় করছি না। আপনাদের কিছু জানার থাকলে আমাদের সাথে ই-মেইলে, ফেইসবুক বা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

একটি ব্লগ পোষ্ট পাবলিশ করার আগে যে সকল বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে

ব্লগে আমরা সবাই মোটামুটি লেখালেখি করি। কেউ নিজের ব্লগে আর কেউবা হয়ত কোন কমিউনিটি ব্লগে। যারা নিজস্ব ব্লগে ব্লগিং করে থাকেন মানে প্রফেসিওনালি ব্লগিং করেন বা করার চেষ্টা করছেন আজকে তাদের জন্য কয়েকটি টিপস নিয়ে কথা বলব। একটা ব্লগ পোষ্ট পাবলিশ করার আগে আপনার যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে আমি তার একটা লিস্ট বানিয়েছি।

০১. প্রুফ রিডিং:

কন্টেন্ট পাবলিশ করার আগে অতি অবশ্যই আপনার পুরো লেখাটি বেশ কয়েকবার পড়ে নেবেন। এতে কোথাও কোন ভুল বা বাক্য গঠনে অসামঞ্জস্যতা থাকলে তা শুধরে নেয়া যাবে। আরো ভাল হয় যদি আপনি তৃতীয় কাউকে দিয়ে আপনার লেখাটি পড়াতে পারেন। বেশিরভাগ লেখকদের বই পাবলিশ হবার আগে তারা বেশ কয়েকবার প্রুফ রিডিং করে থাকেন।

০২. কন্টেন্ট সাজানোঃ

এই ব্যাপারটা একটা চ্যালেঞ্জের মত। অনেকেই জানেন না- লেখা খালি শুধ্ব হলেই তা পাঠকের মন কাড়তে সক্ষম হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার লেখার স্টাইল হতে হবে পারফেক্ট এবং বর্ননা হতে হবে সাবলীল। যতদুর পারেন লম্বা লম্বা বাক্য বলা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন ছোট ছোট বাক্যে প্যারাগ্রাফ গুলো শেষ করার জন্য। আপনি যখন কোন ইনফরমেশন দেবেন তখন কোনটার পর কোনটা আসবে তা ঠিক করে নিন। এলোমেলো ইনফরমেশন দেয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে ইনফরমেশন গুলো লিস্ট আকারে দিন। লেখার যেখানে দরকার জোর দেবার জন্য BOLD করে দিন।

০৩. কি-ওয়ার্ডের ব্যবহারঃ

কি ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় অনপেইজ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে। গুগল এনালিটিকস থেকে আপনার প্রয়োজনীয় কি-ওয়ার্ডগুলো আগেই বের করে নিন। চেষ্টা করুন যেন তাদের কমপিটিশন এবং সার্চ ভলিউম মাঝারি মানের হয়। যদিও কি-ওয়ার্ড রিসার্স একেকজন একেক রকম ভাবে করে থাকেন। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট এর বিষয় এবং কোন Region এর জন্য লেখা তার উপর।
মোটামুটিভাবে ৭০০ ওয়ার্ডের একটা আর্টিকেলে ২ টি কি-ওয়ার্ড আপনি মোট ৭-৮ বার ব্যবহার করবেন। তারপরও পুরো বিষয়টি নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিনের উপর যে সে আপনার এই আর্টিকেলের কোন বিষয়টিকে কি-ওয়ার্ড হিসেবে ধরে নেবে। আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেইLong Tail Key Word ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছি।

০৪. ইন্টার লিঙ্কিং:

এটা একটা গুড প্র্যাকটিস। আপনার ব্লগের সদ্য পাবলিশ হওয়া কন্টেন্ট থেকে যদি রিলিটেড পুরোনো কোন পোষ্টে লিঙ্ক করে দেন তবে তা পাঠকের জন্য যেমন উপকারী তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিং ভালো করতেও সহায়তা করবে।  আমরা অবশ্য অনেকেই “Related Post” নামের প্লাগিন ব্যাবহার করে থাকি ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষেত্রে। এটি নিজে নিজেই ডাটাবেইজ থেকে রিলেটেড কন্টেন্ট পোষ্টের উপরে বা নিচে দেখাতে পারে। তবে ভাল হয় যদি আপনি কন্টেন্ট থেকে হাইপারলিঙ্ক করে দেন।

০৫. ছবির ব্যবহারঃ

আলসেমি করে ছবি দিতে চাচ্ছেন না পোস্টে? তারমানে আপনি পাঠক হারাচ্ছেন। যেখানে দরকার প্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার করুন। ছবির Title এবং Alt tag ঠিক মত দিন। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এটি অতিব জরুরি। এলোমেলো এবং যেকোন ছবি নয়, যথাযথ ব্যবহার আপনার পোষ্টটিকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে। প্রয়োজনে ছবির ইমেজ ক্রেডিট এবং সোর্স উল্লেখ করে দিন।

০৬. পোস্টের URL শর্ট করাঃ

সাধারনত আমরা ওয়ার্ডপ্রেসে যে টাইটেল দিয়ে থাকে পোস্টের জন্য- তাই আমাদের URL হয়ে যায়। তাই অনেক বড় টাইটেল হলে আমাদের পোস্টের লিঙ্ক ও অনেক বড় হয়ে যায়। আপনি এডিট স্ক্রীনে নিচের মত দেখবেনঃ- যেখানে টাইটেলের নিচে  Permalink এর Edit  এ ক্লিক করে আপনি পোস্টের  URL  শর্ট করতে পারবেন। এটিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমিজেশনে ভুমিকা রাখে।
how to change the permalink

০৭. Call to Action:

অনেকেই হয়ত এই বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু সঠিক জানেন না ব্যপারটি কি। খুব সোজা- আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পাঠকের কাছে একটি বার্তা পৌছে দিয়েছেন এখন তাদের কে বলুন কি করতে হবে বা তাদের কি করা উচিত।  হতে পারে এটি আপনার প্রোডাক্টটি কেনার প্রতি উদ্বুধ্ব করা বা আপনার নিউজ লেটারে সাইন আপ করানো বা কমেন্ট করা। বিষয়টি যাই হোক না কেন- তা পরিষ্কার ভাবে এবং strongly উপস্থাপন করুন। আর CALL TO ACTION এর বাটনটি রাখুন পোস্টের একদম উপরে অথবা নিচে।
এই হলো মোটামুটিভাবে আপনার একটি ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করার নিয়ম। নিয়মগুলো প্রতিনিয়ত প্রাকটিসের মাধ্যমে আয়ত্তে নিয়ে আসলে আপনি আপনার ব্লগকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।

ফ্রী ব্লগিং থেকে আর্ন করার ১০ টি সাইট

Image result for i love blogging
blogging
             ব্লগিং থেকে আর্ন করা যায় এটা এখন সর্বজন বিদিত। নিজের একটি ব্লগ থাকলে সেখানে গুগল এডসেন্স বা অন্য কোন এড লাগিয়ে কিংবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আর্ন করা যায় ব্লগিং থেকে।
তবে আজকে সম্পুর্ন নতুন একটি আইডিয়া নিয়ে বলছি। ধরুন আপনার নিজস্ব কোন ব্লগ নাই কিংবা আপনি নিজের ডোমেইন এবং হোস্টিং এর খরচ বহন করতে চাচ্ছেন না- তাহলে কি আপনি ব্লগিং থেকে অনলিনে আর্ন করতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। কিছু সাইট আছে যেখান থেকে আর্ন করতে নিজের ব্লগ লাগে না আবার কিছু সাইটে লাগে।
এখানে কিছু সাইটের লিস্ট দেয়া হল যে সকল সাইটগুলো থেকে ব্লগাররা আর্ন করতে পারবেন।
০১. Sponsored Reviews :  এই সাইটটি তে ব্লগার রা বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ করে আর্ন করতে পারেন। আপনি নিজস্ব স্টাইলে রিভিউ লিখবেন আর তা যদি এডভারটাইজার এর পছন্দ হয় তবে আর প্রচুর কাজ পাবেন এখান থেকে।
০২. Linkworth.com: এটিও একটি রিভিউ সাইট। ব্লগার হিসেবে নিজের বল্গের এড্রেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশান করতে হবে। তারমানে আপনার নিজের ব্লগ লাগবে। ব্লগটি যদি ভালো পেইজ র‍্যঙ্ক এর হয় তাহলে প্রচুর অফার পাবেন।
০৩Reviewme.com:  আরেকটি রিভিউ সাইট। মাসে প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন একজন ভাল ব্লগার হলে।
০৪. About.com:  আশা করি সবাই About.com এর নাম শুনেছেন। এখানে আপনি ফ্রী-ল্যান্সার ব্লগের হিসেবে জইন করতে পারেন এবং তারা মাস শেষে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। একটা বিষয় জানা থাকা জরুরি যে এই সাইটটি তে ব্লগার হিসেবে নিয়োগ পাবার জন্য আপনাকে বেশ দক্ষ হতে হবে।
০৫. Shvoong.com: এখানেও বিভিন্য সাইট এবং কোম্পানি রিভিও কেনে। আপনার রিভিউটি যতো বেশি আলাদ হবে আপনার ততো বেশি সুবিধা পাবেন আপনি। [সার্ভিস বন্ধ]
০৬. Payperpost.com:  আমি নিজেও এইসাইট থেকে আর্ন করে থাকি। পেমেন্ট ভালো পাবেন যদি আপনার ব্লগের পেইজ র‍্যঙ্ক ভাল হয়।
০৭. blogsvertise.com:  এখানেও আপনার নিজস্ব ব্লগ থাকা জরুরী।
০৮. squidoo.com: এখানে আপনার নিজের ব্লগের দরকার নাই। নিয়ম মেনে লেন্স তৈরি করুন এবং ভিসিটর বাড়ান নিজের লেন্সে। স্কুইডো লেন্স ভিসিটরের উপর নির্ভর করে আপনাকে এডসেন্সের একটা পরিমান শেয়ার করবে।
০৯. loudlaunch.com: মুলত এরা একটি লিঙ্ক বিল্ডিং কোম্পানি যারা ব্লগারদের পে করে থাকে রিভিউ পোস্ট লেখার জন্য। [সার্ভিস বন্ধ]
১০. blogitive.com:  এই সাইটটি আমি এখন ট্রাই করে দেখিনি – তবে এখানে আপনার নিজস্ব ব্লগের কোন দরকার নেই। [সার্ভিস বন্ধ]
এই সাইট গুলো বাদেও আরো বেশ কিছি সাইট রয়েছে যেখান থেকে ব্লগাররা মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত আর্ন করতে পারবেন। তবে সবথেকে ভাল হয় যদি এডভারটাইজারের সাথে আপনি সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার দরকার হবে যত্ন করে তৈরি করা ভাল একটি ব্লগ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO এর A to Y পর্যন্ত টিউটোরিয়াল এর শেষ পর্ব এবং কিছু কথা

SEO এর ভবিষ্যৎ

আপনারা যারা কমবেশি সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সাথে জড়িত আছেন। তারা প্রায় সবাই জানেন যে, সার্চ ইঞ্জিন তার টেকনিক বা এ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে এবং আস্তে আস্তে তা এখন অনেকটা পরিণত অবস্থায় এসে দাড়িয়েঁছে। এখন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর রেজাল্ট এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেজ খুব সহজেই খুজেঁ বের করতে পারি।
সার্চ ইঞ্জিন এর image search এর মাধ্যমে আমরা যে কোন image upload করলে ঐ রকম দেখতে অন্য image গুলো সার্চ ইঞ্জিন আমাদের খুজেঁ বের করে দেয়। কিন্তু তারপরেও আমাদের সাইট বানানোর সময় crawler friendly সাইট বানানো উচিৎ। কারণ এখনো সার্চ ইঞ্জিন javascript, flash, video ইত্যাদি object গুলো এখনো crawl করতে পারেনা, তাই সাইট বানানোর সময় যতটা পারেন এগুলো Avoid করুন।
আপনার হয়ত লক্ষ করেছেন, সার্চ ইঞ্জিন এখন কোন কিছু সার্চ করলে, আমাদের সামনে তার shopping result, social সাইট গুলোতে ঐ কিওয়ার্ড কোথায় আছে, বিভিন্ন online news site গুলোতে তার অবস্থান কি? ইত্যাদি তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। আপনি যদি গুগলে লগইন অবস্থায় থাকেন তাহলেতো কথাই নেই গুগল আপনার previous browsing history বিশ্লেষণ করে আপনার সামনে result উপস্থাপন করবে।
প্রথমে আমি একটা কথা বলেছিলাম, আবার এখনো সেই একই কথাই বলছি, আপনার সাইটে যদি relevant good content থাকে, তাহলে seo আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবেনা, যত ধরনের algorithm ই change হোক না কেন- এই কথাটা যেমন এখন থেকে ১০ বছর আগে সত্য ছিল, এখনও কথাটি ঠিক তেমন ভাবেই সত্য।
আমার মনে হয়, পোস্টটির অনেক সিরিজ হয়ে গিয়েছে এবং আমার জানা প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি, তাই আপনাদের আর বেশি বিরক্ত না করে, আমার এই SEO সিরিজ এর এখানেই ইতি টানছি। আশা করছি আপনাদের উপকারে লাগবে। তবে সময় পেলে পরবর্তীতে Link Building Technique নিয়ে একটা সিরিজ টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা আছে। ভাল থাকুন, সবাইকে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO এর A to Y পর্যন্ত টিউটোরিয়াল [পর্ব-৩১] :: SEO এর সাথে UPDATE থাকলে চাইলে, এই Web Site গুলো Follow করুন

আগের পর্বের পর থেকে: মাঝেমাঝেই web analytics ডাটাগুলোর দিকে নজর দিন এবং লক্ষ করুন কোন strategy কাজ করছে এবং কোন strategy কাজ করছে না। যেটা কাজ করছে না সেটা বাদ দিন এবং সামনের দিকে অগ্রসর হোন ।
আজ আপনাদের সাথে Search Engine বিষয়ক সাহায্যের জন্য কিছু ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করবো, যেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন Strategy, Algorithm আপডেট এগুলো সর্ম্পকে জানতে পারবেন। Internet আসলে একটা বিশাল সমুদ্র, এখানে তথ্য খুবই সহজলভ্য এবং যে কেউ খুব সহজেই তা আহরণ করতে পারে। কিন্তু সমস্যাও আছে, এই বিশাল সমুদ্র থেকে সঠিক তথ্য খুজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ এবং এখানে অনেক ক্ষতিকারক তথ্যও আছে, যে কাজগুলো করলে হয়তো আপনার সাইটের Ranking এর ক্ষতি হবে।
SEO আসলে এমন একটি বিষয় যেখানে আপনাকে সবসময় আপডেটেড থাকতে এবং সার্চ ইঞ্জিন এর নতুন নতুন আপডেট সর্ম্পকে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। একারণেই আপনাকে খুবই সতর্ক ভাবে Updated এবং Reliable info collect করতে হবে। কোনভাবেই ভুল তথ্য এর পিছনে সময় এবং শ্রম নষ্ট করা যাবে না। এজন্যই আপনাদের সাথে আজ আমি কিছু সাইট শেয়ার করবো যেগুলো অনেক Reliable এবং আমিও এসব website এর blog follow করি। কারণ এখানে বিশ্বের নামকরা Seo specialist রা কাজ করেন। আসুন একে একে ওয়েবসাইটগুলোর নাম দেখে নিই। আপনারা অবশ্য অনেকেই এসব ওয়েবসাইটের নাম আগেই শুনেছেন।
প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Guideline পাবেন আপনি Google এর কাছ থেকে এজন্য আপনি visit করতে পারেন:
http://www.google.com/webmasters/ --> এই সাইটে যাওয়ার পর নিচে Webmaster Resources পাবেন, এখান থেকে আপনি Guidelines, Help, Blog, Youtube এগুলো দেখতে পারেন। এর চেয়ে বিশ্বস্ত আর কিছু নেই। আর গুগল ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনে আপনি যে গাইড লাইন গুলো পাবেন তা সবসময়ের জন্য সত্যি।
দ্বিতীয়ত আপনি Bing এর Webmasterদের Blog টাও দেখতে পারেন। এটাও আমার কাছে ভাল লাগে
http://www.bing.com/community/site_blogs/b/webmaster/default.aspx
Google এর Matt Cutts এর ব্লগ ও youtube channel দেখতে পারেন।
Blog: http://www.mattcutts.com/blog/
Youtube: http://www.youtube.com/user/MattCutts
খুবই জনপ্রিয় এবং Reliable সাইট Seomoz Follow করতে পারেন। আমি অবশ্য দেখেছি এই ব্লগটি Follow করলেই আপনি বিভিন্ন ধরনের গুগল আপডেট ও নিত্যনতুন SEO টিক্স সম্পর্কে জানতে পারবেন।
http://www.seomoz.org/blog 
http://www.seomoz.org/ugc
তারপর SEOBook.com কে Follow করতে পারেন এর সুন্দর সুন্দর কিছু Begginer Level এর টিউটোরিয়াল আছে।
এরকম আরো কিছু সাইট: searchengineland.com - এই সাইটে সাধারণত প্রতিদিনই নতুন তথ্য পাবেন, কিন্তু সবগুলোই যে গুরুত্বপূর্ণ এরকম ভাবার কারণ নেই। আর আপনি যদি সব পড়েন এবং বিশ্বাস করেন তাহলে Information Overload হয়ে যাবে।
outspokenmedia.com/blog - এখানকার article এর লেখার মান খুব ভাল। এখান থেকে আপনি আর্টিকেল লেখার কৌশল সর্ম্পকে ধারণা নিতে পারবেন।
linkspiel.com - আপনি যদি শুধু Link Building technique শিখতে চান তাহলে এই সাইটটা দেখতে পারেন।
kaushik.net/avinash/ - Web Analytics সর্ম্পকে জানতে চাইলে, দেখতে পারেন।
আজ এ পর্যন্ত , ধন্যবাদ সবাইকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO এর A to Y পর্যন্ত টিউটোরিয়াল [পর্ব-৩০] :: Analytics থেকে আপনার সাইটের Traffic Source সর্ম্পকে জানুন

আজকের এই পর্বটা আগের পর্বের সাথে connected, তাই আগের পর্বটা একবার দেখে নিতে পারেন। এজন্য এখানে ক্লিক করুন আগের পর্ব আমার এ টিউনটা Chain Tune হওয়া সত্ত্বেও সাইটের এডমিনরা কেউ এখনো আগের পর্ব টাকে চেইন টিউন হিসেবে যুক্ত করেনি। চলুন শুরু করি, আগের পর্বের পর থেকে:
আমরা আমাদের সাইটে যাই লিখিনা কেন, আর যাই করিনা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে সাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়। এ কারনে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি analytics দ্বারা রেজাল্ট গুলো চেক করে নেন। এই কারণে প্রথমেই analytics এ প্রবেশ করুন। তারপর traffic sources অপশনে যান। তারপর referring sites খুজে বের করুন ও এখানে ক্লিক করুন।
এখানে ঢোকার পরে আপনি প্রথমেই সিলেক্ট করে দিন যে আপনি কয় মাসের traffic source একবারে দেখতে চাচ্ছেন। যদি আপনার সাইটের ভিজিটর এর সংখ্যা কম হয় তাহলে আপনি একবারে ৩-৬মাসের ডাটা দেখতে পারেন।
নিচের ছবিতে দেখুন আমরা twitter.com থেকে ভাল পরিমানে traffic পেয়েছি।
এখানে আপনারা যদি twitter.com এর লিঙ্ক এর উপর ক্লিক করেন তাহলে আপনারা আরো ভিতরের পেজে চলে যাবেন এবং এখান থেকে আপনারা দেখতে পাবেন, twitter এর কোন কোন পেজ থেকে আমরা ভিজিটর পেয়েছি।
এছাড়াও আপনারা ইচ্ছা করলে campaigns option এ যেতে পারেন।
এখান থেকে আপনারা আপনাদের সেট করা goal গুলোর কনভারশন সর্ম্পকে জানতে পারবেন। social site গুলো থেকে আপনার সাইটে যে ভিজিটর আসবে, তাদের দ্বারা আপনার গোল পূরণ হওয়া কঠিন। তবে হ্যা আপনি যদি বিভিন্ন social site এ আপনার সাইট সম্পর্কে জানান তাহলে আপনার ভিজিটর বাড়বে ও কনভারশনও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। Google analytics শেখার জন্য এই সাইটটি ভিজিট করতে পারেনhttp://www.google.com/analytics/learn/index.html

আসুন আমরা শুরু থেকে যা যা শিখছি সেগুলো একবার রিভিউ করে নেই:

  • সবসময় ওয়েবসাইট তৈরী করবেন ভিজিটরদের জন্য। কারন সার্চ ইঞ্জিন এর লক্ষ্যই থাকে, searcher দের সর্বাপেক্ষা ভাল সাইট খুজে দেয়া। তাই আপনার সাইট ভাল হলে আপনি অবশ্যই র‌্যাঙ্কিং করবেন।
  • কিওয়ার্ড এমনভাবে চয়েজ করুন যেন তা আপনার পেজের সাবজেক্ট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, এর সার্চ পরিমান যেন মোটামুটি হয় এবং যেন খুব বেশি cometitive না হয়।
  • আপনার সাইটটিকে সুন্দর ভাবে categorize করুন এবং navigation গুলো ঠিক মতো সাজান, ভাল anchor text এবং alt attributs ব্যবহার করুন, যেন তা আপনার সাইটের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
  • আপনার ওয়েবসাইটটি এমনভাবে Program করুন যেন এটি crawler-friendly হয়। আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ডগুলো যেন, Flash, Javascript ইত্যাদির নিচের চাপা না পড়ে।
  • আপনার সাইটের Title Tag, Meta Description and Page headline এর দিকে লক্ষ রাখুন যেন এগুলোর ভিতর কিওয়ার্ড থাকে। Page headlines গুলো যেন duplicate না হয়।
  • সাইটটি এমনভাবে তৈরী করুন যেন, অন্যরা আপনার সাথে তাদের প্রয়োজনেই লিঙ্ক ব্যাক করে।
  • র‌্যাঙ্কিং নিয়ে কখনই চিন্তা করবেন না কারণ এটি সবসময় পরিবর্তনশীল।

বিভিন্ন মানুষজনের সাথে Online Link Partnerships build করুন। যেমন:

  • ক্রেতা
  • সহযোগী
  • বিভিন্ন কোম্পানী
  • আপনি যেসব সোশ্যাল সাইটে অংশগ্রহণ করেন।
  • সঠিক স্থানে আপনার সাইটের advertisement দিন।
ধন্যবাদ সবাইকে, আজকের মত ইতি টানছি। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO এর A to Y পর্যন্ত টিউটোরিয়াল [পর্ব-২৯] :: Analytics এর Data Analyze করুন

অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। কিছু মনে করবেন না, মাঝে কিছু অন্য কাজের ব্যস্ততা থাকায় SEO নিয়ে অনেকদিন পোস্ট করতে পারেনি। আমি আমাদের দেশের অনেককেই দেখেছি, যারা শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিং শিখেই নিজেদের Seo expert হিসেবে দাবি করে এবং তারা বিভিন্ন Free lancing platform ও কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের আরো অনেক কিছু শেখা এবং জানা উচিৎ কারণ Seo এমন একটা vast field যে এটা শুধুমাত্র link building শিখলেই হবে না। আনুষাঙ্গিক আরো অনেক ব্যাপার আছে। যেগুলো না পারলেও at least ন্যুনতম ধারণা থাকা উচিৎ। তাই নতুনদের অনুরোধ করব, আপনারা seo সর্ম্পকে পড়াশোনা করুন তারপর এই ফিল্ডের জবগুলি করুন। আর Seo সর্ম্পকে প্রচুর পরিমানে ফ্রি রিসোর্স internet ই পাবেন, শুধুমাত্র কষ্ট করে পড়ে নিতে হবে। আর দেশেও ইদানীং অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেও আপনারা শিখতে পারেন। তবে আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে Internet থেকেই আপনি সমস্ত তথ্য collect করতে পারবেন। যাই হোক অনেক অফটপিক কথা বলে ফেললাম, চলুন আবার কাজে ফিরে যাই।
এখন আবারো উপরের ছবির দিকে লক্ষ করুন এবং Search Engine ট্যাবে যান তাহলে আপনি আপনার সাইটে কতজন ভিজিটর কোথা থেকে আসছে এগুলো জানতে পারবেন।
তারপর উপররের ছবির মত keywords ট্যাবে যান এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন, কোন কিওয়ার্ডস এর মাধ্যমে আপনি কতজন ভিজিটর পেয়েছেন। সাধারণত গুগল প্রথমে ১০টা কিওয়ার্ড শো করে কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে এখান থেকে আরো বেশি সংখ্যাক কিওয়ার্ড show করাতে পারেন। এখান আপনি অনেক কিওয়ার্ড পাবেন যার কিছু আমরা আমাদের সাইটের জন্য অপটিমাইজ করেছি, আর এমন কিওয়ার্ড পাবেন যেগুলো আমরা অপটিমাইজ করিনি।
উপরের ছবির দিকে লক্ষ করুন। এখানকার প্রায় প্রতিটা ইনফরমেশন আমরা Ascending or decening অর্ডারে সাজাতে পারি। যেমন দেখুন এখানে অন্য কলামএ কে কত সময় সাইটে ছিল, কে কে সাইটে ঢোকার সাথে সাথেই সাইট থেকে বের হয়ে গিয়েছে(bounce rate) ইত্যাদি তথ্য দেয়া আছে।
এবার চলুন keyword এর পাশে দেখানো অপশন থেকে landing page এ ক্লিক করে দেখে ভিজিটর প্রথম কোন পেজে আসছে।
এবার এটাকে যদি আমরা visits এর ভিত্তিতে sort করি তাহলে দেখতে পাব অধিকাংশ ভিজিটর home page প্রথম ভিজিট করছে। আর একটা ব্যাপার, সেটা হল আমরা যে page কে যে কারনে অপটিমাইজ করছি সেই পেজে আমরা সেই keyword থেকেই ভিজিটর পেয়েছি। আমাদের এই সাইটে যেমন amazon এর affliate product বিক্রি হয় তাই আমাদের conversion এর মেইন গোল হবে amazon এর সাইট কত ভিজিটর ভিজিট করেছে সেটা। উপরের ছবির Clicked an amazon affiliate link এটা সর্ট করলে আমরা কোন phrase এর জন্য goal conversion হয়েছে সেগুলো দেখতে পাবো।
এখন লক্ষ করুন এখানে কিছু কিওয়ার্ড জন্য শুধুমাত্র ১জন ভিজিটর আসছে এবং আপনার goal গুলো পূরণ হওয়াতে 200% গোল কনভারশন রেট দেখাচ্ছে, তারমানে এই নয় যে যেই আপনার সাইট এই কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে ভিজিট করবে সেই আপনার goal পূরন করবে। ভিজিটর বাড়ার সাথে সাথে এই success rate ও কমবে। যেমন আমাদের কিওয়ার্ড kindle reviews এর জন্য লক্ষ করলেই আপনি এটার কারণ বুঝতে পারবেন। তাই এসব Value analysis করার সময় নিজের বুদ্ধির ব্যবহার করুন। এভাবে ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকবে। আর যদি না বাড়ে তাহলে analytics থেকে কারণ বের করার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে প্রতি মাসে ১বার করে analytics এর ডাটা গুলো বিশ্লেষণ করুন।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে, আজকের মত ইতি টানছি। 

Post Labels